চুয়েটে পুরকৌশল বিভাগের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু

আতাহার মাসুম তারিফঃ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) উদ্যোগে ৪র্থ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

“ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডভান্সেস ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএসিই-২০১৮)” শীর্ষক শিরোনামে আজ ১৯ ডিসেম্বর (বুধবার) থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী উক্ত কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.আব্দুল মান্নান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম,পুরকৌশল বিভাগের ডীন অধ্যাপক ড.আব্দুর রহমান ভূঁইয়া,কনফারেন্স সেক্রেটারি এবং পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.আফতাবুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কনফারেন্স চেয়ার অধ্যাপক ড. মোঃ মইনুল ইসলাম।

পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল আচার্যের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারং-এর বর্তমান অগ্রগতি বিষয়ে একটি ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেন পুরকৌশল বিভাগের প্রভাষক অপু চন্দ্র দেবনাথ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি এবং পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ আফতাবুর রহমান। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন জাপানের অধ্যাপক ড. তাকাশি মাতসুশিমা (Prof. Dr. Takashi Matsushima) এবং থাইল্যান্ডের অধ্যাপক ড. পেনাং ওয়ারনিতেহাই (Prof. Dr. Pennung Warnitehai)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.আব্দুল মান্নান বলেন, বর্তমানে দেশে অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ চলছে যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা ও অবদান অপরিহার্য। কিন্তু বহিঃর্বিশ্বের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আবিষ্কার ও অগ্রগতির সাথে সঙ্গতি রেখে আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে নির্মাণকাজ ও পদ্মা সেতুর মত মেগা প্রজেক্ট তৈরির ক্ষেত্রে খরচ কমানোর পাশাপাশি নির্মাণকাজ টেকসই করতে চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের মিশন-২০২১ এবং মিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য তরুণ প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসার নির্দেশ দেন এবং সেজন্য তরুণ প্রকৌশলীদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য স্থির রেখে সামনে আগাতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আমাদের দেশে কাজের সুযোগ ও পরিধি বাড়ছে। বহিঃর্বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের প্রকৌশলীরাও অবদান রাখছেন। পদ্মাসেতুর মত মেগা প্রজেক্টে সেই সক্ষমতাই প্রতিফলিত হয়েছে।

এবারের কনফারেন্সে বাংলাদেশ সহ ১০টি দেশের প্রকৌশলী,গবেষক-বিজ্ঞানীগণের প্রবন্ধ সহ মোট ১৮৭টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। ২টি কী-নোট সেশন,৩টি আমন্ত্রিত বক্তৃতা এবং ২৩টি টেকনিক্যাল সেশন রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন শাখার পাশাপাশি,সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বাংলাদেশের সমসাময়িক বিভিন্ন স্থানীয় সমস্যা সম্পর্কিত বিষয়ের উপর কয়েকটা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে এবং সেগুলা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।

আতাহার মাসুম তারিফ
তারিখ-১৮.১২.২০১৮