অর্থ আত্মসাৎ ও নারী শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ চুয়েট শিক্ষকের বিরুদ্ধে

চুয়েটনিউজ২৪ ডেস্কঃ

গবেষণা সহকারী ও শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ এবং নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ঐ শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. ইসলাম মিয়া। তিনি চুয়েটের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক।

আন্দোলনে যুক্ত পিএমই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আলিফ হোসেন জানান, গতকাল আমরা পিএমই বিভাগের সকল শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেই। পরে আমাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে  রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দিয়েছি। আমাদের ১০ দফার প্রধান দাবি ছিল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসলাম মিয়ার পদত্যাগ। মোহাম্মদ ইসলাম মিয়া বিভিন্ন অনৈতিক ও দুর্নীতিমূলক কাজের সাথে যুক্ত। তিনি গবেষণা সহকারীদের বেতনের অর্থ, সোসাইটি অব পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার্স (এসপিই) এর তহবিলের টাকা আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে হয়রানি করেছেন। এছাড়াও তিনি ক্লাসে অন্যান্য শিক্ষকদের সমালোচনা ও তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিতেন এবং ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীদের মদদ দিতেন। তাই এমন কুরুচিপূর্ণ ও বিকৃত মানসিকতার একজন ব্যক্তিকে আমরা শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারিনা।  আমরা চুয়েট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, অতিদ্রুত যেন তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না।

এদিকে গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চুয়েট সংস্কারের উদ্দেশ্যে গঠিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গ্রুপ রিফর্ম চুয়েটে ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া এবং গবেষণা সহকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে পোস্ট করেন ঐ বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাভিদ ইউসুফ। তিনি তাঁর পোস্টে মো. ইসলাম মিয়ার গবেষণা সহকারী পিএমই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাগর হোসেন সবুজ ও আলমগীর পাঠানের বেতনের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে জানতে চুয়েটনিউজের কথা হয় আলমগীর পাঠানের সাথে। তিনি বলেন, আমাকে ইসলাম স্যার ২০২২ সালের ৩০ জুন একটি প্রজেক্টে (Project ID: CUET/DRE/2021-2022/PME/002) গবেষণা সহকারী হিসেবে এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছিলেন। একটি প্রজেক্টে পূর্ন মেয়াদে আমি সহকারী হিসেবে থাকা সত্বেও তিনি আমাকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে গবেষণা সহকারী হিসেবে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) আরেকটি গবেষণা প্রজেক্টে (Project ID: MHD20221870) এক বছরের জন্য নিয়োগ দেন। উক্ত প্রজেক্টে গবেষণা সহকারীর মাসিক বেতন ছিল ১৫ হাজার টাকা। আমাকে নিয়োগ দেয়ার পরে উনি আমাকে এ প্রজেক্টের কোনো কাজই করাননি। প্রজেক্ট শুরুর ৬ মাস পর তিনি একদিন আমার নামে ইস্যুকৃত আমার বেতন বাবদ ৯০ হাজার টাকার একটি চেক দিয়ে টাকা তুলে আনতে বলেন। টাকা তুলে নিয়ে আসলে সেই টাকার পুরোটা তিনি নিয়ে নেন। এর আরো ৬ মাস পর তিনি একইভাবে আমার নামে ইস্যুকৃত আরো একটি চেকের মাধ্যমে আরো ৯০ হাজার টাকা তুলে নিয়ে উনি আত্মসাৎ করেন। এরপর উনি আমাকে উনার অফিসে একটি কাগজে টাকা প্রাপ্তি স্বীকার মর্মে আমার স্বাক্ষর নেন। প্রকৃতপক্ষে উনার উদ্দেশ্য ছিল গবেষণা প্রকল্পে সহকারী নিয়োগ দিয়ে আমাকে কোন কাজ না করিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করা।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইসলাম মিয়া সোসাইটি অব পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার্স (এসপিই) বাংলাদেশ সেকশনের সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন এসপিই চুয়েট স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের সদস্যরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসপিই বাংলাদেশ সেকশনের কোষাধ্যক্ষ মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, এসপিই বাংলাদেশ সেকশন (প্রফেশনাল) এর পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী চুয়েট স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারকে ৩০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সভা-সেমিনার আয়োজনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে এই অর্থ ব্যয় করা। চেকটি সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করেন স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের ছাত্র প্রতিনিধি মোহাইমিনুল ইসলাম। তাঁর সাথে তখন ছিলেন ড. মোহাম্মদ ইসলাম মিয়া। পরবর্তিতে চুয়েট চ্যাপ্টারের কয়েকজন সদস্য আমার সাথে যোগাযোগ করে জানান অর্থের অভাবে তাঁরা কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারছেন না। আমি তখন চেক গ্রহনকারী সেই ছাত্র প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি তাঁর হাতে প্রদান করা চেকটি ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে সোনালী ব্যাংক চুয়েট শাখায় ভাঙ্গিয়ে সম্পূর্ণ টাকা ড. মোহাম্মদ ইসলাম মিয়া নিয়ে নেন। পরবর্তীতে উনার কাছে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য টাকা চাইলে তিনি ফান্ডে কোনো টাকা নেই বলে জানান এবং তাদেরকে নিজেদের টাকায় অনুষ্ঠান আয়োজন করতে বলেন।

ঐ ছাত্র প্রতিনিধি পিএমই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল ইসলাম চুয়েট নিউজকে বলেন, ঢাকার গুলশানে শেভরন এর অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুয়েটসহ বাংলাদেশের ৬টি স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার এর ছাত্র প্রতিনিধিদের প্রত্যেকের হাতে ৩০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। সেই চেক আমি বহন করে চুয়েটে নিয়ে আসি। পরে পিএমই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আদনান নুর আবির স্যারের মাধ্যমে আমি ইসলাম স্যারের কাছে চেকটি হস্তান্তর করি। পরবর্তীতে চুয়েট চ্যাপ্টারের ১৯ ব্যাচের ভাইরা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য স্যার থেকে কোন টাকা পান নি বলে আমাদের জানান।

এদিকে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ, অনৈতিক প্রস্তাব প্রদান এবং প্রস্তাবে রাজি না হলে ক্লাসে অপমান করা, পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়া, কাউকে না জানাতে হুমকি প্রদান ইত্যাদি বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট গ্রুপ রিফর্ম চুয়েট ও চুয়েট আড্ডাবাজে পোস্ট করেন পিএমই বিভাগের সাবেক কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী।

তাদের দুইজনের সাথে কথা হয় চুয়েট নিউজের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএমই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, ড. ইসলাম মিয়া আমাদের একটি কোর্স নিতেন। কোর্সের প্রথম ক্লাস পরীক্ষা আগে থেকে তিনি আমাকে ফোনে কল দেয়া শুরু করেন। শুরুতে একাডেমিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললেও এক পর্যায়ে তিনি বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন, ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য। উনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে ফোন দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন এবং বিয়ে করার জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতেন। তাই আমি উনার ফোন ধরতে চাইতাম না। কিন্তু তারপরেও উনি আমাকে বারবার কল করে বিরক্ত করতেন। এক পর্যায়ে আমি ফোন কল না উঠানোয় উনি ক্লাসে ও পরীক্ষায় আমাকে বাজেভাবে অপমান করতে শুরু করেন। এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে উনি আমাকে হুমকি দিতেন। উনি আমার ব্যাচমেটদের থেকে আমার কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা সেসব বিষয়ে জানতে চাইতেন এবং আমাকে ভয় দেখাতেন এমন কিছু থাকলে উনি আমার বাবাকে সব বলে দিবেন। এমনকি উনি বিভাগে সংরক্ষিত আমার ব্যক্তিগত তথ্য থেকে আমার বাবার ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। তখনকার সময়ে উনার এই কার্যকলাপ আমাকে বিষাদগ্রস্ত করে তুলেছিলো।আমি অনেক হতাশার মধ্য দিয়ে দিন  কাটাচ্ছিলাম।

পিএমই বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের আরেক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ইসলাম মিয়া স্যার মাঝে মাঝে রাতে আমাকে ফোন করতেন এবং মেসেজ পাঠাতেন। প্রথমে তিনি ক্লাস লেকচার, ক্লাসে পড়ানো বুঝতে পারছি কিনা এবং অন্যান্য শিক্ষকরা কেমন পড়াচ্ছেন এসব বিষয়ে জানতে চাইতেন। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই তিনি আমাকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা শুরু করেন। আমি কারো সাথে কোনো সম্পর্কে জড়িত আছি কিনা, আমার বিয়ে নিয়ে কী চিন্তাভাবনা ইত্যাদি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা শুরু করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ভালো নয় বুঝতে পেরে আমি তাঁর ফোন কল উপেক্ষা করতে শুরু করি, যার দরুন তিনি ক্লাসে আমাকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে অপমান করতে থাকেন। ২০১৩ সালের দিকে একদিন তিনি আমাকে বলেন তিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আমাকেও ঐ বিভাগের শিক্ষক বানাবেন যদি আমি তাকে ভবিষ্যতের জীবনসঙ্গী হিসেবে বিবেচনা করি। এটি শোনার পর আমি হতবাক হয়ে আমার রুমমেটকে বিষয়টি জানাই। পরবর্তীরে রুমমেটের পরামর্শে আমি তখনকার সুফিয়া কামাল হলের সহকারী প্রাধ্যক্ষ পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আয়েশা আক্তার ম্যামকে বিষয়টি অবহিত করি। এরপর ইসলাম স্যার আমাকে ফোন করা বন্ধ করে দেন। কিন্তু এরপরে তিনি আমাকে পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে কম নম্বর দিতে থাকেন এবং যথারীতি আমার ক্লাসের ও জুনিয়র ব্যাচের অন্যান্য মেয়েদের একই ধরনের হয়রানি করতে শুরু করেন। দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি আমার থিসিস সুপারভাইজার ছিলেন। থিসিস করাকালে পেট্রোবাংলা থেকে সংগ্রহ করা আমার ডাটা এবং থিসিসের ওয়ার্ড ফাইল তাঁর কম্পিউটারে স্থানান্তর করার জন্য আমাকে হুমকি দেন। তিনি আমাকে বলেন আমি যদি ফাইলটি তাকে না দিই, তবে তিনি আমাকে প্রেজেন্টেশন দেয়ার সুযোগ দেবেন না। উনার আচরণে আমি তখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম। আমি আশা করি চুয়েট প্রশাসন অতি দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এর সত্যতা জানতে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আয়েশা আক্তারের সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেন নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. ইসলাম মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিতে চাচ্ছি না। এরকম অভিযোগ অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি এ ধরনের অভিযোগ আশা করিনি। অভিযোগগুলো শুনার পরে আমার মন মানসিকতা এ অবস্থায় নেই যে আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলবো। তবে এ বিষয়ে আমাদের বিভাগে আলোচনা হয়েছে।অভিযোগগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মাফিক যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। অতিদ্রুতই এ বিষয়গুলোয় আমার উত্তর আসবে।

পিএমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সানাউল রাব্বি পাভেল চুয়েট নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা দশ দফা দাবি আমাদের কাছে লিখিত আকারে দিয়েছে। আমরা এ নিয়ে বিভাগে তিনবার সভা করেছি। ড. ইসলাম মিয়ার পদত্যাগসহ দশ দফা দাবি নিয়েই আমরা আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীদের সাথে বসে কথা বলবো৷ আশা করছি খুব দ্রুতই গুরুত্ব সহকারে এ বিষয়গুলো সমাধান করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা দশ দফা দাবি নিয়ে এসেছিল। যেহেতু দাবিগুলো পিএমই বিভাগ সংশ্লিষ্ট। তাই দাবিগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে আমি বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদের ডীনকে বলেছি। পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে উনারা সিদ্ধান্ত নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *