চুয়েটে হল ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান, ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী

চুয়েটনিউজ২৪ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট) প্রশাসনের দেওয়া হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছে শিক্ষার্থীরা।সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নির্দেশনার প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। 

এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আজ সন্ধ্যায় চুয়েট ছাত্রলীগ কার্যালয়ে ভাংচুর করে ও বিপরীত বিবৃতি দিয়ে হলে অবস্থান ও ছাত্ররাজনীতি বয়কটের সিদ্ধান্ত জানায়।বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা জানায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় তাদের নিজ নিজ জেলায় গমন করা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনিশ্চিত।শিক্ষার্থীরা বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করেন,শিক্ষার্থীরা চুয়েটে সকল প্রকার ছাত্র,শিক্ষক, স্টাফ ভিত্তিক রাজনীতি বর্জন করেছে।এবং এসকল কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে তাকেও বর্জন করবে।

ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ভাঙ্গচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের উদ্দেশ্যে একপক্ষ ছাত্রলীগকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে এ কাজগুলো করছে। ক্যাম্পাসের জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল ফায়দা লুটতে এ ধরণের কাজ করেছে।

এই বিষয়ে  কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদিল রায়হান বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন যৌক্তিক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত অনাকাঙ্ক্ষিত এবং নিন্দনীয়। দেশের এই ক্রান্তিকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় বাস কিংবা প্রাঙ্গণেই নিরাপদ নয়। এমতাবস্থায় হল ছাড়ার নির্দেশ দিলে হলে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাবে কোথায়?আর ওদের যদি কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় এর দায়ভারই বা কে নিবে? এজন্য শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রদত্ত হল ভ্যাকেন্টের সিদ্ধান্তকে বর্জন করলাম।’

চুয়েট তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইহতিশামুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের শান্তিপূর্ণ  কর্মসূচি পালন করবে।তাদের মতামত জানাবে।এই ক্ষেত্রে জোর পূর্বক এরকম নির্দেশ চাপিয়ে দেওয়া বোকামী।’

উল্লেখ্য, আজ ১৭ই জুলাই (বুধবার) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং আগামীকাল (১৮ই জুলাই) দুপুর ২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *