২৩ কোটি টাকা অর্থায়নে চুয়েটের আবাসিক নতুন হল

মো.গোলাম রব্বানী, তাসনিয়া মাসিয়াত আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে চুয়েটের নতুন আবাসিক হল। কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেছনে দক্ষিণ পশ্চিম কোণে শেখ রাসেল হলের সামনে নতুন এই আবাসিক হলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়ছে। করোনা মহামারীর কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সভা আয়োজন করা না যাওয়ার কারণে হলটির নির্মানকাজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও দেয়া সম্ভব হয় নি। তবে নির্মানকাজ চলছে পুরোদমে। ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত নতুন এই হলটি চুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। চুয়েটে ছাত্রদের আবাসিক হল সংখ্যা পাঁচ। তবে নতুন হল সহকারে সংখ্যা ছয় হতে চলেছে। নির্মানাধীন নতুন হলের সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো.রেজাউল করিম এবং হলটির প্রজেক্ট হেড সাবেক পিএনডি সভাপতি,চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড.সুদীপ কুমার পাল মর্মে জানা যায়, ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন হলটি নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে।প্রকল্পটির টেন্ডার ২/৩ বার হওয়ার পর চুড়ান্ত অনুমোদন এসেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাত হলের এই অনুমোদন হয়ছিল। নির্মানাধীন হলের ডিজাইন এবং বাজেট সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক সুদীপ কুমার পাল বলেন,বারবার পরিকল্পনা ও টেন্ডার হওয়ায় হলের ডিজাইন দুই তিনবার পরিবর্তন করা হয়ছে। তবে এর ডিজাইন কিছুটা সর্বশেষ নির্মান করা ছাত্রী হল শামসুন্নাহার হলের মতো।তার আদলেই তৈরি হবে নতুন এই হল। আর বাজেট প্রাথমিক ভাবে ১৯ কোটি টাকা ধরা হলেও এখন দ্রব্যাদির বাজার মুল্য বিবেচনায় ২৩ কোটি ছাড়াবে। ডেভেলপমেন্ট এই প্রজেক্টের সম্পন্ন অংশই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দ্বারা করানো হবে।তবে চুয়েটের প্রকৌশল অধিদপ্তর তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবে।সাথে এই প্রজেক্টের নির্মান কাজে যৌথভাবে IS Trading এবং JJ Trader প্রতিষ্ঠান দুটি কাজ করবে। টেন্ডার চুক্তির মাধ্যমে তারা কাজটি গ্রহন করে। আবাসিক হলে কতজন শিক্ষার্থী থাকবে পারবে এবং হলের বিস্তারিত জানতে চাইলে অধ্যাপক সুদীপ আরও বলেন, নির্মাণাধীন নতুন এই ভাবনটি ৫ তলা পর্যন্ত উত্তীর্ণ করা হবে। যেখানে সর্বনিম্ন ৫২৫ জন শিক্ষার্থী আবাসিকভাবে থাকতে পারবে । প্রতি রুমে ৪ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করবে। দুটি ডাইনিং,১টি টিভি রুম এবং একটি লাইব্রেরির জন্য আলাদা আলাদা কক্ষ করা হবে। নির্মাণাধীন হলের নামকরণ কি হবে এবং কত সময় লাগবে নির্মান কাজ শেষ করতে এমন প্রশ্নে,সাবেক পিএনডি পরিচালক আরও বলেন,২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে তারপর খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষার্থীদের সীট বরাদ্দ দেয়া হবে। আর হলটির নামকরন এখনও চূড়ান্ত হয়নি।তবে অনেক নাম প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে ‘সূর্য সেন হল’ প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। উল্লেখ্য চুয়েটে ছাত্রদের জন্য পাঁচ টি এবং ছাত্রীদের জন্য ২ টি সহ মোট সাতটি আবাসিক হল রয়েছে।ছাত্রদের পাঁচটি আবাসিক হলগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু হল, শহীদ মোহাম্মদ শাহ হল,তারেক হুদা হল , ডা.কুদরত ই খুদা হল, শেখ রাসেল হল। ছাত্রীদের ২ টি হলের নাম – সুফিয়া কামাল হল এবং শামসুন্নাহার হল। নির্মাণাধীন হলের কাজ শেষ হলে মোট হল সংখ্যা হবে আট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *