চুয়েট শিক্ষার্থীদের ড্রিলিং সাইট পরিদর্শন।

আল-আমিন ইসলামঃ

প্রকৌশল বিদ্যা অপরিপূর্ণ বাস্তব জ্ঞান ছাড়া। তাই প্রকৌশল বিদ্যাপীঠগুলো বিদ্যার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন সময়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরের মাধ্যমে তা অর্জনের প্রয়াস চালিয়ে আসছে। ঠিক একই লক্ষ্যে গেলো ৩১ মার্চ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অবস্থিত ড্রিলিং সাইটি পরিদর্শন করে।
এতে ঐ বিভাগের ৪০ শিক্ষার্থী ‘হরাইজন্টাল ডিরেকশনাল ড্রিলিং’ নামে সাইট পরিদর্শনে যায়।
‘টু ইমব্রেস এক্সপ্লোরেশন’ শীর্ষক এই স্লোগানে উদ্ভুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অবস্থিত ড্রিলিং সাইটি পরিদর্শন করে। এতে সহযোগিতা করে পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন এসপিই এর চুয়েট চ্যাপ্টার।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় সড়ক ও নৌ পথে তেল পরিবহন যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই পাইপলাইনে তেল পরিবহনের প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের দাউদকান্দি অংশে ‘হরাইজন্টাল ডিরেকশনাল ড্রিলিং (এইচডিডি)’ কাজ চলমান।

শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টায় সাইটটি পরিদর্শন শুরু করে। তাদের সঙ্গে কোর্ডিনেটর ছিলেন শিক্ষক মোহাম্মদ আদনান নূর আবির, মোহাম্মদ মামুন-উর-রশিদ এবং জায়েদ বিন সুলতান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর মুহাম্মাদ আনোয়ার উস সাদাত এবং কর্মরত প্রকৌশলরা।

এসপিই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা জায়েদ বিন সুলতান জানান, চুয়েটের পিএমই বিভাগ দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। অত্র বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে পেট্রোলিয়াম আহরণ ও পরিবহন সংক্রান্ত একাধিক কোর্স পড়ানো হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত তেল পরিবহন প্রকল্পের এইচডিডি এর কাজ চলমান। তাই শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে বাস্তব জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যে উক্ত কাজ পরিদর্শন করা অতীব জরুরি, যা তাদেরকে জ্বালানি তেল-গ্যাস পরিবহন সংক্রান্ত কৌশলগুলো হাতে কলমে শিখতে সহায়তা করে। উপরন্তু, শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতেও এ ধরণের ফিল্ড ট্রিপ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

চুয়েট এসপিই স্টুডেন্টের সভাপতি আতিকুল হক বলেন, এই সাইট পরিদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে ইঞ্জিনিয়ারিং একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে আমরা মনে করি। পেট্রোলিয়াম বেশ আকর্ষণীয় এবং ব্যয়বহুল একটি ইন্ডাস্ট্রি। এই সফর আমাদেরকে সেই পথে আরো আগ্রহী করে তুলেছে। আমরা চুয়েট এসপিই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার থেকে ভবিষ্যতে এইরকম আরো ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইট এবং ফ্যাক্টরি পরিদর্শনের আশা প্রকাশ করছি।

চুয়েটের সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রকল্পে কর্মরত প্রকৌশলী সৈয়দ তাহমিদ হোসেন এ পরিদর্শন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আশা করা যায়, এরূপ কাজ শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রকৌশল বিদ্যাকে আরো আনন্দদায়ক করে তুলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *