চুয়েটে ছাত্রহলে শিক্ষকের মদ পানের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

চুয়েটনিউজ২৪ ডেস্কঃ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্র হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের এক শিক্ষকের গভীর রাতে মদ পানে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার চুয়েটের ৪৯ তম ব্যাচের(শিক্ষাবর্ষ ২০১৮-১৯) শিক্ষা সমাপনী উৎসবের শেষ দিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে কনসার্ট আয়োজন করা হয়৷ কনসার্ট চলাকালে রাতে পুরকৌশল বিভাগের প্রভাষক শাফকাত আর রুম্মান ছাত্র হলে রাত চারটা নাগাত মদ পান করতে যান। এর কিছু সময় পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী ও চুয়েটের ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনা স্থলে পৌঁছান এবং শিক্ষার্থীদের সামনে মদ পান ও মাদক সেবন রত অবস্থায় অভিযুক্ত শিক্ষককে দেখতে পান। এসময় তিনি উত্তেজিত হয়ে উপস্থিত সবাইকে বকাঝকা করেন এবং হলের নিচে নেমে রাস্তায় আহাজারি করতে থাকেন। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জান্নাতুল ফেরদৌস কে শান্ত করে ঐ শিক্ষককে ধরাধরি করে শিক্ষক ডরমিটরি তে পৌঁছে দেন। 

বিষয়টি জানাজানির পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠে।

তদন্ত কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধর ও সদস্য হিসেবে রয়েছেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ। এ বিষয়ে ড. সুনীল ধর বলেন, কমিটির সদস্যকে নিয়ে বসে এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। খুব দ্রুতই আমরা কাজ শুরু করবো।

শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.নিপু কুমার দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অফিস আদেশে বলা হয়। এ বিষয়ে ড. নিপু কুমার দাস বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।তদন্ত কমিটি তদন্ত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও চাকরি বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অফিস আদেশে আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার সত্যতা নিরূপণের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *