চুয়েট নিউজ২৪ ডেস্ক:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছে চুয়েট সাংবাদিক সমিতি। গতকাল রাতে সমিতির দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এ দাবি তোলেন সংগঠনটির সভাপতি জিওন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী।
এ দুই নেতা বলেন, বাক স্বাধীনতা গনতন্ত্রের সবচেয়ে মৌলিক অধিকার। এ অধিকার সুরক্ষা ও সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্র ভয়হীন পরিবেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত না করে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে মানুষকে বাকস্বাধীনতা থেকে দূরে রাখছে।

২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।
ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক ছিলেন শামসুজ্জামান। এ ঘটনার জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও ও রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রমনা থানায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
রমনা থানায় করা মামলায় শামসুজ্জামানের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।