আসহাব লাবিব:
“ষোলো বছর ধরে যে লুটতরাজ চলেছে তা দেশকে খালি করে দিয়েছে। জনগণের হককে নষ্ট করে দেশকে পঙ্গু বানানো কখনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাজ হতে পারে না। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিয়েছি। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনো দেশের রিজার্ভ থেকে টাকা খরচ করি নি। আমরা রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে এটা বাস্তব যে, ষোলো বছরের জঞ্জাল একবছরে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়।” চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আয়োজিত এক ইসলামিক সেমিনারে এসব কথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) চুয়েটের কেন্দ্রীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় “প্রকৌশল শিক্ষায় ঈমান, আমলের চর্চা এবং সৎ চরিত্র গঠন” শীর্ষক সেমিনার। এই সেমিনারেই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এছাড়াও উক্ত সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন আদ-দাওয়া ইলাল্লাহ এর পরিচালক আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক। চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তর আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উক্ত অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আরো বলেন, ধর্ম চর্চা শিক্ষায় বাধা হতে পারে না। ধর্ম মানুষকে পরিশুদ্ধ করে। আসুন সকলে প্রকৃত ধর্মের চর্চা করি এবং নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হয়ে দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করি। আর ইসলামকে মন ও হৃদয় দিয়ে ধারণ করি।
বিশেষ আলোচক আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক তার আলোচনায় বলেন, নিয়ত সহীহ থাকলে দুনিয়াবি কাজের মাধ্যমেও আমল উপার্যন সম্ভব। আমাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় ও সমতাবিধান কায়েমের প্রচেষ্টা থাকলেই এই দেশের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হবে। পাশাপাশি প্রকৌশল বিদ্যাকে কিভাবে আল্লাহর রাস্তায় কাজে লাগানো যায় তা চিন্তা করতে হবে।
উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহজুড়ে চুয়েটে আয়োজিত হয়েছে ইসলামিক উৎসব। তার অংশ হিসেবে
নাশিদ সন্ধ্যা, আবৃত্তি, আয়াত ইসলামিক শপ, সুন্নাহ প্রদর্শন, পোস্টার প্রদর্শন, সীরাহ বই বিতরণ, ফটোবুথের মতো নানান ধরনের আয়োজন করা হয় চুয়েট ক্যাম্পাসে। এছাড়া ফিলিস্তিন এর জন্য প্রজেক্ট রাফাহ এর মাধ্যমে অর্থও সংগ্রহ করা হয় উক্ত ইসলামিক উৎসবে। আজকের এই সেমিনারের মধ্য দিয়েই মূলত সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।