আসহাব লাবিবঃ
সবুজ স্বর্গ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(চুয়েট) কে আরও নান্দনিক করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে চুয়েট প্রশাসন। এসব প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই হাতের বাম পাশে নির্মিত হচ্ছে নান্দনিক পান্থপথ, লাগানো হয়েছে ল্যাম্পপোস্ট।
অন্যদিকে, পরিবর্তন করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রিট-লাইটগুলোও। কমিয়ে আনা হবে ঝুলন্ত তারের সংখ্যা, সংযুক্ত করা হবে সেন্ট্রাল হাবের সাথে। পাশাপাশি সংস্কার করা হবে পদ্মপুকুড়। গেটের পূর্ব দিকে সোনালি ব্যাংক এর পাশ ঘেঁষে তৈরি করা হবে নতুন রাস্তা।
এছাড়াও সমান-তালে চলছে পয়ঃনিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থাপনা ও রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের কাজ। নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে চুয়েটের মেডিক্যাল সেন্টারও। কাঠামোগত এসব কাজের দরুন চিরচেনা রূপের বাইরে গিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশ পাবে চুয়েট।
কাঠামোগত এসব উন্নয়নের পরিকল্পনা ও এসব কাজে গাছ কাটা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের (পি অ্যান্ড ডি) পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, “প্রকল্পগুলোর কাজ পরিকল্পিত ভাবে করা হচ্ছে । যে গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলোকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে যথাসম্ভব কম গাছ কেটে কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
পাশাপাশি গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে সবাইকে আরও পরিকল্পিত হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন তিনি। তার মতে “পরিকল্পিত স্থানে বৃক্ষরোপণ দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হিসেবে কাজ করবে”।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন (টিএসসি) পর্যন্ত এবং স্বাধীনতা চত্বর থেকে একাডেমিক ভবন-১ (পুরকৌশল ভবন) পর্যন্ত পান্থপথ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজের মাধ্যমে চুয়েটের নান্দনিকতা আরও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে শিক্ষার্থীরা আশাবাদী।