জিওন আহমেদঃ
উত্তেজনায় টানটান, চারপাশে হৈ হুল্লোড়, উৎসবমুখর এক পরিবেশ – কার আগে কে দিবে কুইজের সঠিক উত্তর, কে হবে বিজয়ী? এ ছিল গত ২৬ শে ডিসেম্বর নবীন বরণের জন্য আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত “এসেন্ট অফ দ্য লাস্ট টিন” প্রোগ্রামের একটি ছোট্ট অংশ মাত্র।
করোনার মহামারিতে যখন সব থমকে দাড়িয়েছিল, আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ তখন এক নতুন উদ্যমে, নতুন ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যায় অনলাইনে। প্রায় দেড় বছর পর ক্যাম্পাসে ফিরে ১৫ বর্ষের বিদায়ী সংবর্ধনা এবং নৈশভোজের পর আবারো ১৯ বর্ষের নবীন বরণের মাধ্যমে নতুন রূপে অফলাইনে শুরু হয় তাদের যাত্রা। গত ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ এ আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত এই প্রোগ্রামে অংশ নেয় প্রায় শতাধিক নবীন।
একের পর এক সারপ্রাইজ ইভেন্টের মাধ্যমে আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ তাদের বরণ করে নেয়। ছিল কুইজ, ছিল প্রেজেন্টেশন এবং ছিল বিজয়ী দের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার! কুইজের বিষয়সমূহ ছিল কিছু প্রযুক্তিভিত্তিক, কিছু চলচিত্র ভিত্তিক, কিছুবা হাস্যরসাত্মক যা বেশ চাঞ্চল্যকর এক পরিবেশ সৃষ্টি করে সকলের মাঝে। শতাধিক শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে কুইজের মাধ্যমে ৫ টি টিম ২য় পর্বের জন্য বাছাই করা হয় যার প্রতিটি টিমে ছিল ৩ জন করে। অবশেষে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ২ টি টীম কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের কাউন্সিলর ও চুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. নূর মোহাম্মদ এবং চুয়েটের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ও ছাত্রকল্যাণ সমিতির ডিরেক্টর ড. মো. রেজাউল করিম।
এই বছরের আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত সব কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান করেন প্রফেসর ড. নূর মোহাম্মদ। আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত-ভাবেই দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি কিভাবে সামাজিক ভাবে অবদান রাখে তার অসংখ্য উদাহরণের মাধ্যমে তিনি উদ্বুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীদের। ড. মো রেজাউল করিম তার বক্তব্যে আইইইই ব্রাঞ্চের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন নবীনদের সম্মুখে।
এছাড়াও আইইইই চুয়েট ডব্লিউ আই ই এফিনিটি গ্রুপ স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের চেয়ার ত্রিশিতা ঘোষ ত্রয়ী এবং ভাইস-চেয়ার অঙগনা বিশ্বাস ডব্লিউ আই ই এফিনিটি গ্রুপ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের জেনারেল সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ আল মিরাজ এই ব্রাঞ্চের সাথে যুক্ত হওয়া নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে জানান যে, আইইইই ভিন্ন ভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন সৃজনশীল মানুষের সাথে কাজ করার সু্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতি আত্মবিশ্বাসের সাথে মোকাবেলা করার মতো বিভিন্ন গুনাবলী অর্জন করার সুযোগ করে দেয়। সবশেষে ব্রাঞ্চ চেয়ার আসিফ মাহবুব উদ্দীন আইইইই এর সাথে তার পথচলার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বলেন “আইইইই শিক্ষার্থীদের নিজেদের মেধা, সৃজনশীলতা প্রকাশের এবং দক্ষতা অর্জনের একটি বৃহৎ ক্ষেত্র”। তাই তিনি ‘১৯ আবর্তের শিক্ষার্থীদের আইইই’র সাথে যুক্ত হয়ে নিজেদের সৃজনশীল মেধাকে আরও বিকশিত করতে অনুপ্রাণিত করেন।