চুয়েটে নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে শিক্ষককে শোকজ

চুয়েটনিউজ২৪ ডেস্ক:

গত ২২শে এপ্রিল (সোমবার) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে একটি বাসের বেপরোয়া গতির কারণে দূর্ঘটনায় স্বীকার হয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের দুই ছাত্র নিহত হয়‌ । এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলে।

আন্দোলনে শ্রেণী কার্যক্রম নিয়ে বিরুপ মন্তব্যের অভিযোগ উঠে চুয়েটের মানবিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (হিসাববিজ্ঞান) ড. সুমন দে’র বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ২য় বর্ষের (২১ ব্যাচ) পানি কৌশল বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধি শিক্ষককে মুঠোফোনে ক্লাস বর্জনের বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, “সিভিলের পোলা মরসে, তোমরা কেন ক্লাস করবা না?”

এমন বিরুপ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তোলে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আন্দোলনে প্রাথমিকভাবে ৯টি দাবি থাকলেও পরবর্তীতে উক্ত মন্তব্যের প্রতিবাদে ১০ম দাবি যুক্ত হয়। এই দাবিতে বলা হয় উক্ত শিক্ষককে জনসম্মুখে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে এবং অনতিবিলম্বে তাকে বহিষ্কার করতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উক্ত শিক্ষকের মন্তব্যের বিপরীতে তার ছবি সংগ্রহ করে তাতে জুতার মালা পরিয়ে দেয়। এছাড়া তার প্রতীকি অবয়ব তৈরি করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের আহ্বানে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বলেন, “তার(অভিযুক্ত শিক্ষক) বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হবে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে অগ্রগতিতে তার আত্মপক্ষের সমর্থনে ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

তার ফলশ্রুতিতে আজ ২৪ শে এপ্রিল (বুধবার) চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ড. সুমন দে’কে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ খালেদ আরাফাত বলেন,”শিক্ষক হিসেবে উনার এমন মন্তব্যে আমরা সকলেই ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছি।উনার এই বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে উক্ত শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ধরণের কোনো মন্তব্য করেন নি জানিয়ে কল কেটে দেন।

এদিকে সকল দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সকল ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল থাকবে বলে জানিয়েছে।

One thought on “চুয়েটে নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে শিক্ষককে শোকজ

  1. অতিরঞ্জিত। চিলে কান নিয়েছে বলে কানে হাত দিয়ে ধরে দেখা হয়নি। নিশ্চয়ই ছাত্রদের লেখাপড়ার স্বার্থে শিক্ষকের খুব সাদামাটা বলা কথা একটাকে অন্যভাবে রং লাগিয়ে ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে নিস্পাপ ছাত্রদেরকে দিয়ে তিলকে তাল করার অপপ্রয়াস মাত্র। একজন সন্মানিত শিক্ষক কখনও ছাত্রের স্বার্থের বিপরীতে মন্তব্য করে না। ওনিও সেটার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয় বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। শিক্ষকের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা ভালো ছাত্রদের আদর্শ হওয়া উচিত; এটা বিখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্ররা অনুধাবন করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।। ছাত্র শিক্ষকের পবিত্র ও গৌরবময় সম্পর্ক অম্লান থাকুক এটাই প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *