চুয়েটে হয়ে গেল বানী বন্দনা ১৪২৯

সৈকত কুমারঃ-
কথায় আছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বারোমাসে তেরো পার্বণ। এই তেরো পার্বণ বা পূজার মধ্যে শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা অন্যতম। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বিদ্যার দেবীর পূজা চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) উদযাপিত হয়েছে। আয়োজনের পুরো দায়িত্বে ছিল পূজা উদযাপন পরিষদ, চুয়েট।

প্রতিবছর পৌষ-সংক্রান্তি শেষে ছেলে বুড়ো সকলের মুখেই দেবী সরস্বতীর আগমনী বানী শোনা যায়। কারণ শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সে হিসেবে এবার ২৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার রাতে দেবী বরনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। চুয়েটে কোনো মন্দির না থাকায় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে (টিএসসির সামনে) একটি অস্থায়ী পুজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়। এ মন্ডপে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টায় পূজা আরম্ভ হয়। সাড়ে ১০ টায় অঞ্জলি প্রদান করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগন। মন্ডপ প্রাঙ্গণ সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল।

পূজার পর দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় ধর্মসভা। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম । মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন স্বামী শক্তিনাথানন্দ মহারাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডঃ রনজিৎ কুমার সুত্রধর ও অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশাল রায় চৌধুরী। উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, চুয়েট প্রশাসন ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। আমরা ক্যাম্পাসের একটা মন্দির স্থাপনের চেষ্টা করছি।

এরপর দুপুর ২ টায় উপস্থিত সবার মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে সংগঠনটি। শেষে সন্ধ্যা ৬টায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে তারা। এতে সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার পরিজনরাও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে “বাক” নামক সাময়িকী প্রকাশ করে পূজা উদযাপন পরিষদ, চুয়েট। এতে চুয়েটের সনাতন ধর্মালম্বী প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় লেখাগুলো স্থান পেয়েছে। আজ সকালে প্রতিমা বিসর্জ্জনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *