চতুর্থ দিনে চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নতুন মোড়

সাইকা শুহাদাঃ

সড়ক দূর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি চুয়েটের সামনের কাপ্তাই সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর ফলে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে আটকে পড়েন অসংখ্য যাত্রী।

দুপুর সাড়ে ১২ টায়, শিক্ষার্থীরা একটি প্রেস ব্রিফিং করে তাদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন। এসময় তারা তাদের আন্দোলনকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং স্থানীয় জনগণকে এই আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন প্রদানের আহ্বান জানান। পাশাপাশি, দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে এই আন্দোলনে পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ককে প্রশস্ত করে চার লেন করার দাবি জানানো হয়৷ এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরেই উপাচার্য ভবনে প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। এতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বক্তব্য জানান, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদেরকে একাধিকবার আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয়ে ওঠেনি। কিছুক্ষণ পরেই একাডেমিক কাউন্সিলের মূলতবী সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানেই তারা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন।

অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেসব তালা ভেঙে ফেলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। দ্রুতগতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তওফিক হোসেন। এ ঘটনায় গতকাল চারটি বাস আটক করেন এবং একটি বাসে আগুন লাগান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *