আসাদুল্লাহ গালিব:
একদফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (চুয়েট) পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ ০৪ নভেম্বর (বুধবার) চাকরি ক্ষেত্র সহ একাডেমিক সুযোগ সুবিধায় বিভিন্ন বৈষম্যের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। সকাল ১১ টায় চুয়েট ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে উপাচার্য ভবন এর সামনে জড়ো হয়। তারপর উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত এক দফা দাবি হলো, ‘দ্রুত বিভাগের নাম পূর্বের ন্যায় পুনঃসংস্কার করে পুর ও পানি সম্পদ কৌশল (Civil and Water Resources Engineering-CWRE) করতে হবে এবং পুর ও পানি সম্পদ কৌশলী (CWRE) হিসেবে ২০১৯-২০ ও পরবর্তী সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করতে হবে।’
আন্দোলনরত অবস্থায় ঘটনাস্থলে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত হলে তাদের হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া,পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল , পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি. এম. সাদিকুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রমুখের উপস্থিতিতে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট তাদের দাবি সমূহ পেশ করেন। এসময় পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের চলমান সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এক দফা দাবি ছাড়াও উক্ত সভায় বিভাগের শিক্ষক সংকট, কোন অধ্যাপক না থাকা সহ বিভিন্ন সময় হয়ে আসা অনিয়ম ও বৈষম্য নিয়ে কথা বলা হয়।
পানি সম্পদ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, চুয়েট পানি সম্পদ কৌশল বিভাগ ১০ বছর ধরে বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বাংলাদেশে এই বিভাগের অনেক সুযোগ থাকলেও চুয়েট প্রশাসন বিভাগ খোলার পর থেকে এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। অনৈতিকভাবে আগের প্রশাসন ডিপার্টমেন্টের নাম CWRE থেকে WRE করে মূলত বিসিএস সহ সকল সরকারি বেসরকারি চাকরির সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। দশ বছর ধরে এই ডিপার্টমেন্টে অধ্যাপক নেই, পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই।
শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, এই বিষয়টি সমাধানের জন্য সময়ের প্রয়োজন। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উত্থাপন ছাড়া এর সমাধান সম্ভব নয়। চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্য এবং এক দফা দাবির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উত্থাপন ও আলোচনা করা হবে।
সভা শেষে উপাচার্যের আশ্বাসে বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তবে দাবি পূরণ না হলে পুনরায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে উক্ত বিভাগ পুর ও পানিসম্পদ কৌশল নামে যাত্রা শুরু করে । তবে ৩ বছর পর ২০১৮ সালে বিভাগের নাম এবং ডিগ্রি পরিবর্তন করে পানি সম্পদ কৌশল নাম দেওয়া হয়।