ফেইস দ্যা কেস ৪.০ এর সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত

আসাদুল্লাহ গালিব :

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত কেইস সলভিং কম্পিটিশন ‘ফেইস দ্যা কেইস ৪.০’-এর চূড়ান্ত পর্ব সম্পন্ন হয়েছে।

গতকাল ৫ই জুলাই (শুক্রবার) চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বেলা ৯ টায় অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ শাহজাহান অনারারি সেক্রেটারি, আইইবি চট্টগ্রাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. রেজাউল করিম , তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ এবং
আর এন্ড ডি গিগাটেক লিমিটেডের প্রধান
ফয়সাল আহমেদ খান।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধনের পর শুরু হয় কেস সলভিং প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৩২টি দলের মোট ৯৩৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এতে পূর্বের দুই রাউন্ডে নির্বাচিত মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করে। যেখানে প্রতিযোগীরা তাদের চিন্তা ও বিভিন্ন সমস্যার নতুন সমাধান সম্পর্কে তাদের ধারণা উপস্থাপন করে।

সুষ্ঠু এবং সুবিচারের মধ্য দিয়ে বিচারকগণ তিনটি টিমকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
‘ফেইস দ্যা কেইস ৪.০’-এ চ্যাম্পিয়ন দল হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল ( বিইউপি)-এর টিম “আনাস ফ্রম ভেনাস”। এই টিমের তিনজন সদস্য হলেন শাহরিয়ার ইসলাম রুপো, রুবাইয়াত সামাদ, মাহাদি হাসান সাজিদ।

১ম রানার্স আপ হয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম “দি এনালাইটিক্যাল আলকেমিস্ট”। এই টিমের সদস্যরা হলেন- আবদুল্লাহ আল সিয়াম, শাফকাত নওয়াজ চৌধুরী। এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয় আর্মি আইবিএ -এর টিম “কোডব্রেকার্স”। টিম “কোড ব্রেকার্স” এর সদস্যরা হলেন – মঞ্জুর মোর্শেদ আলিফ, সাদমান সুমন আকাশ, অরিত্রী গায়েন চৈতি।

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে রাত ৮:১৫ মিনিটে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতাটির বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বমোট প্রাইজ মানি ১ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ,১ম রানার্স আপ এবং ২য় রানার্স আপ দল পাবে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, এই ধরনের কেইস সলভিং প্রতিযোগিতা তরুণদের আরও দক্ষ ও সৃজনশীল হতে সহায়তা করবে। এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের যে ভিশন ২০৪১ আছে সেটি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তিকে ভালোভাবে কাজ লাগাতে হবে দেশের মঙ্গলের জন্যে। শিক্ষিত লোকের দেশপ্রেমিক ও সৎ হওয়া দরকার। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ফেস দ্যা কেস একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটাতে ভূমিকা রাখবে। এমন প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাস্তবধর্মী ও টেকসই সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশে সহায়ক হবে।”

উল্লেখ্য ‘ফেইস দ্যা কেস’ জাতীয় পর্যায়ে কেস সলভিং কম্পিটিশন। যার মূল উদ্দেশ্য সমসাময়িক সমস্যার বাস্তবসম্মত ও টেকসই সমাধান প্রদান করা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *