চুয়েট নিউজ২৪ ডেস্কঃ
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের ১২টি জেলা। বন্যা কবলিতদের সহায়তায় নিরলসভাবে ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরনে নিরলসভাবে কাজ করছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে বর্তমান শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সহায়তা করছেন সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।
গত বুধবার (২১ আগস্ট) হতে তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিকাশ, নগদ, রকেট, ব্যাংক মাধ্যমের পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে বুথ স্থাপন করে গনত্রান কর্মসূচির মাধ্যমে তহবিল ও ত্রান সংগ্রহ করছেন তাঁরা। এখন পর্যন্ত সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ তিন লক্ষ নব্বই হাজার নয়শ পঁচানব্বই টাকা। যার মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে তিন লক্ষ ছয় হাজার টাকার ত্রান সামগ্রী।
শিক্ষার্থীরা জানান, ত্রান নিয়ে ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী, ফটিকছড়ি, কুমিল্লা, লক্ষীপুর, মিরশরাই, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়েছেন তাঁরা। ত্রান প্রদানের পাশাপাশি উদ্ধারকাজেও নিয়োজিত আছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের থেকে টাকা, কাপড় ইত্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমাদের উদ্ধারকারী অনেকগুলো দল বন্যা কবলিত বিভিন্ন অঞ্চলে শুকনা খাবার, পানি ও কাপড়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে গিয়েছেন। এখনো আমাদের তহবিল সংগ্রহ ও ত্রান বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ সাদমান তানিম বলেন, এমন দূর্যোগে সবাই যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এসেছে। তহবিল সংগ্রহ থেকে শুরু করে উদ্ধারকাজে যাওয়া, বাজার, প্যাকেজিং করাসহ বিভিন্ন কাজে সবাই এগিয়ে এসেছে। আমাদের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত করতে আমরা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকেও চুয়েট শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অর্থ সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছি। আশা রাখছি সকলের সহযোগিতায় আমরা এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারবো।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন চুয়েটের শিক্ষকেরা। চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, চুয়েটের শিক্ষকরা তাদের একদিনের বেতন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সহযোগিতার জন্য দিচ্ছেন। অনেকে তার চেয়ে বেশি অনুদান দিয়েও এগিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে ও বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে বন্যার্তদের সহযোগিতা করছেন। আকস্মিক এ দূর্যোগে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এমন মূহুর্তে আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসা দরকার।
ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা বন্যা কবলিতদের সহায়তায় যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা প্রশংসনীয়। পাশাপাশি শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও এগিয়ে এসেছেন। আশা করি সকলের সহযোগিতায় খুব দ্রুত এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।