চুয়েটে চালু হলো “শিক্ষার্থীদের অনলাইন ছাড়পত্র ব্যবস্থা”

মু.ফাহিম রেজা

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আজ ৩০ জুন (সোমবার) হতে  চালু হয়েছে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ছাড়পত্র (ক্লিয়ারেন্স) ব্যবস্থা।  এই নতুন ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়েটের  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। তিনি এই পদ্ধতি সুন্দরভাবে কার্যকর রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং এই সফটওয়্যার তৈরি ও বাস্তবায়নে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এতদিন শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্রের জন্য ম্যানুয়াল ফরম পূরণ করতে হতো, যেখানে প্রায় ২০০ জনের স্বাক্ষর সংগ্রহের প্রয়োজন হতো। এতে শিক্ষার্থীদেরকে বারবার বিভাগ, হল, গ্রন্থাগারসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরতে হতো। স্বাক্ষরদানকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের পাওয়া না গেলে এই প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের বিলম্ব দেখা দিত, যা শিক্ষার্থীদের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াত।

নতুন চালুকৃত অনলাইন ছাড়পত্র ব্যবস্থায় এখন শিক্ষার্থীকে কেবল নিজ বিভাগ, নিজ আবাসিক হল এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে উপস্থিত হতে হবে। বাকি সকল দপ্তরের ছাড়পত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে আইআইসিটি, চুয়েট কর্তৃক নির্মিত অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এই সফটওয়্যার ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শাখা তাদের পাওনা, অভিযোগ বা আর্থিক জরিমানার তথ্য নিজস্ব পোর্টালে যুক্ত করতে পারবে।

শিক্ষার্থী তার নিজস্ব অনলাইন পোর্টালে লগইন করে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, পাওনা বা জরিমানার বিবরণ দেখতে পারবে এবং তা নিষ্পত্তির মাধ্যমে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে পারবে। চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, যদি কোনো অভিযোগ বা পাওনা বাকি না থাকে, তবে শিক্ষার্থী নিজ পোর্টাল থেকেই ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি ও খনিজ খনন প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব নাঈম বলেন, অনলাইন ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম চালু হওয়া চুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আগে যেখানে ক্লিয়ারেন্স নিতে কয়েকদিন লেগে যেত, এখন তা হয়তোবা শুধুমাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ অনেকাংশেই কমে যাবে এবং আশা করা যায় পুরো প্রক্রিয়াটি হবে সহজ এবং স্বচ্ছ।

নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে চুয়েট ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার দিকে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো। এর ফলে অনেকাংশেই লাঘব হবে শিক্ষার্থীদের  ছাড়পত্র কেন্দ্রীক ভোগান্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *