আসাদুল্লাহ গালিব:
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শুরু হয়েছে ২ দিন ব্যাপী অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন। গতকাল শুক্রবার চুয়েটের পিএমই ভবনে উদ্বোধনী অধিবেশন এর মাধ্যমে শুরু হয় সম্মেলনের। আজ শনিবার ছিল সম্মেলনের শেষ দিন।
চুয়েট ছায়া জাতিসংঘ ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত এ সম্মেলনে ছিল মোট দুটি কমিটি। প্রতিটি কমিটিতে ২০ জন করে প্রতিনিধির অংশগ্রহণে চলে বিভিন্ন বৈশ্বিক ও প্রযুক্তি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনাসভা ও মতবিনিময়।
জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কমিটি এর কার্যসূচি ছিল ‘মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত মোকাবেলা এবং এর আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও আন্তর্জাতিক শান্তির ওপর প্রভাব’ এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা এর কার্যসূচি ছিল ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বৈশ্বিক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি এবং নৈতিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শাসন অগ্রসর করা।’
জাতিসংঘ নিরস্ত্রীকরণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কমিটিতে সেরা প্রতিনিধির পুরস্কার অর্জন করেন ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী
মাহমুদুল হাসান এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা কমিটিতে সেরা প্রতিনিধি হয়েছেন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান রোহান।
এ বিষয়ে পরিচালনাকারী বোর্ডের সদস্য রুদ্র বণিক জয় চুয়েটনিউজে বলেন,
“আমরা শুরু থেকেই চাইছিলাম এমন একটি সম্মেলন আয়োজন করতে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা শুধু মত প্রকাশই করবে না, বরং যুক্তি, শৃঙ্খলা ও কৌশলের মাধ্যমে নিজেদের চিন্তাশক্তিকে শাণিত করার সুযোগ পাবে। আমরা অত্যন্ত সফলভাবে আয়জনটির শেষ করতে পেরেছি।”
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাইসিরুল মুক্তাদি বলেন, “আমরা চাই শিক্ষার্থীরা বইয়ের বাইরে বেরিয়ে বাস্তব পরিস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক দক্ষতা গড়ে তুলুক। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে নেতৃত্ব বিকাশে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা।”
উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা মডেল ইউনাইটেড নেশনস ক্লাব বা ছায়া জাতিসংঘ সংগঠনগুলো মূলত জাতিসংঘের ন্যায় বিভিন্ন ইস্যুতে সম্মেলন আয়োজন করে থাকে। প্রতিযোগীদের সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে হয়। বিচারকরা একজন প্রতিযোগীর কূটনৈতিক দক্ষতার বিচারে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে থাকে।