চুয়েটে যোগজীকরণ যুদ্ধের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

চুয়েটনিউজ২৪ডেস্ক:

ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলছে টিক টিক। হোয়াইট বোর্ডে মার্কার হাতে মুখোমুখি দুই যোদ্ধা। শুরু হয়েছে জটিল যোগজীকরণ যুদ্ধ। চোখে চোখে লড়াই, মাথায় হিসাব-নিকাশ, আর চারপাশে নিস্তব্ধ উত্তেজনা। দর্শকেরা তাকিয়ে আছে অপলক দৃষ্টিতে— কে জিতবে, কে পাবে সেরাদের সেরার মুকুট!

আজ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় এমনই এক দৃশ্য। এমআইটির আদলে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার নাম “চুয়েট ইন্টিগ্রেশন বী ২.০”। আজ ২৯শে অক্টোবর(বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় উক্ত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।

চুয়েট শ্রোডিঙ্গার সোসাইটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া এ প্রতিযোগিতায় “বেস্ট ইন্ট্রিগেটর ২০২৫” হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী আবির আহমেদ চ্যাম্পিয়ন এবং একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মো ফরহাদ হোসাইন রানারআপ হন বলে জানা যায়।

এর আগে, ১ম ধাপে বহুনির্বাচনী ও লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে সেরাদের নির্বাচিত করা হয় পরবর্তী পর্যায়ের জন্য। যেখানে প্রায় ১৫০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে সেরা ১৬ জনকে নির্বাচিত করা হয়। ২য় ধাপে ১৬ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৪ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বের জন্য উত্তীর্ণ হয়।

চূড়ান্ত পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব এনার্জি এন্ড টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক ড.জামাল উদ্দীন আহম্মদ, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.নূর মোহাম্মদ, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো সেলিম হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসপাইরিং বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সাদাত রেজাউর রাশিদ চৌধুরী।

বক্তৃতায় মো. সেলিম হোসেন বলেন, এই অনুষ্ঠানটি সৃজনশীলতা ও উদ্দীপনার এক চমৎকার উদাহরণ। এটি শুধু একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং গণিতের সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করার, যুক্তি ও আত্মবিশ্বাসে আরও বিকশিত হওয়ার একটি পথ। এই অনুষ্ঠান প্রমাণ করে, কীভাবে চুয়েটের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তুত। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করছি। সকল অংশগ্রহণকারীদের জানাই আন্তরিক শুভকামনা।

আয়োজকবৃন্দের পক্ষ থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান বলেন, গতবছরের ধারাবাহিকতা এবারও নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পেরে আমরা শুকরিয়া আদায় করছি। পরবর্তী বছরের জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করার পরিকল্পনাও রয়েছে। এই আয়োজনকে ঘিরে নবীন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস আমাদের সকল পরিশ্রমকে স্বার্থক করে তুলেছে।আগামীতেও যেন এই ধরনের প্রতিযোগিতায় নিজেদেরকে সংযুক্ত রাখে সেই প্রত্যাশাই রাখি।

উল্লেখ্য, এ প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করেছে আইবি,বার্জার ও এসপাইরিং বাংলাদেশ। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল চুয়েটনিউজ২৪।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *