চুয়েটনিউজ ২৪ ডেস্ক :
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ফিরে পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর আগের সেই স্বপ্নভরা সূচনার দিনটির স্মৃতি, উদযাপন করেছে তাদের প্রথম বর্ষপূর্তি। এর আগে সাধারণত প্রথম বর্ষ পূর্তির দিনে শাড়ি পাঞ্জাবি পড়া, গান গাওয়া ইত্যাদি অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হতো। তবে এইবার এইসকল আয়োজনের পাশাপাশি ব্যাতিক্রমধর্মী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
গতকাল ২৭ অক্টোবর (সোমবার) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে “কাওয়ালি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় স্মরণীয় এক সন্ধ্যা” শিরোনামে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে এক সুরে তাল মিলিয়ে ইসলামিক সংগীত, নাতে রাসূল, নাশিদ, কাওয়ালি এবং আল্লাহর প্রশংসায় বিভিন্ন হামদ পরিবেশন করা হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একক নাশিদ পরিবেশন করেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাশরুর এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের সরকার আদিব মাহমুদ, মাজেদুল ইসলাম, নিজামউদ্দীন ও রবিউল ইসলাম।
এছাড়াও আমন্ত্রিত সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী “স্টুডিও ফোকাস” কাওয়ালি ও নাশিদ পরিবেশন করে, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে দারুণ উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে যন্ত্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুলকিফল আবেদীন বলেন, “গত রাতের কাওয়ালি সন্ধ্যা ছিল আমাদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। মনোমুগ্ধকর সাউন্ড, আলোকসজ্জা এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রাণবন্ত পরিবেশনা পুরো আয়োজনে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। দর্শক-শ্রোতাদের উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাসই আমাদের পরিশ্রমের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এই সফল আয়োজনের পেছনে ছিল একদল পরিশ্রমী মানুষের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দলগত প্রচেষ্টা, যাদের কারণে ‘কাওয়ালি সন্ধ্যা ২০২৫’ হয়ে উঠেছে স্মরণীয় এক সন্ধ্যা।”
এছাড়াও একই বর্ষের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন আম্মার চুয়েটনিউজ২৪-কে বলেন, “আমাদের এনট্রান্স ডে উপলক্ষে আয়োজিত ইভেন্টটি সত্যিই উপভোগ্য হয়েছে। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আয়োজনে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে। এরকম সুস্থ সাংস্কৃতিক ধারা বজায় থাকুক।”
গত বছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এই ভিন্নধর্মী বর্ষপূর্তি আয়োজনের সূচনা হয়েছিল, এবং তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও বৃহত্তর পরিসরে নান্দনিক আলোকসজ্জায় অনুষ্ঠিত হয় এই কালচারাল সন্ধ্যা। শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।