গোলাম মোস্তফা তানিম:
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তড়িৎ ও যন্ত্রকৌশল ভবনের সভাকক্ষে গত ১৭ ই জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ইন্ট্রোডাকশন টু রকেট্রি’ শীর্ষক একটি সম্মেলন। চুয়েটের একমাত্র মহাকাশ ও রোবট গবেষণা ভিত্তিক সংগঠন এন্ড্রোমিডা স্পেস এন্ড রোবোটিকস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (এসরো) আয়োজন করেছে এই সম্মেলন।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও এসরোর মডারেটর ড. মো. আহসান উল্লাহ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বণিক।
উক্ত সম্মেলনের শুরুতেই রকেট বিজ্ঞানের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব কুমার কর। পরবর্তীতে স্টারলাপের রকেট তৈরির প্রক্রিয়া ও এর প্রযুক্তিগত দিকসমূহ উপস্থাপন করেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শুভ আহমেদ, মো. রায়হানুল নায়েম , কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জি. এম. ফয়সাল তাইসির এবং জৈব চিকিৎসা প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মিসবাহ খান।
এই সম্মেলনের অন্যতম আলোচক সজীব কুমার কর চুয়েটনিউজ২৪ কে জানান,আমাদের একাডেমিকালি রকেট্রি নিয়ে পড়াশোনা করা হয় না। এসরোর এই সেমিনার সবার মধ্যে রকেট্রি সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে এই কমিউনিটি থেকেই আমরা সফলভাবে রকেট উড্ডয়ন করবে বলে আমি মনে করি।
সভায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: আয়াত ইবনে রশিদ বলেন, গতকাল এর সেশন এ অংশগ্রহণ করে আমার রকেট নিয়ে যা ধারণা ছিল তা একদম পাল্টে যায়। আমি ভেবেছিলাম বর্তমানে অনলাইনে সব পাওয়া যায় কিন্তু গতকাল সেশন থেকে জানলাম রকেট বিষয়ে তথ্য কোথাও বিস্তারিত ভাবে দেওয়া নেই। বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট সিমুলেশন করে তারপর বোঝা যায় আসলেই কি কি প্রয়োজন রকেট বানাতে। আরো জানলাম বহির্বিশ্ব নাকি নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করে কিন্তু আমাদের মত দেশের সাথে করে না তাই আমার মধ্যে সেই স্পৃহা সৃষ্টি হয়েছে যাতে আমরাও একদিন নিজেদের রকেট বানিয়ে তাদের পর্যায়ে চলে যাবো ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, উক্ত এই সেমিনারে ২০২০ থেকে ২০২৩ ব্যাচের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।