নাজিফা তাসনিমঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতামুক্ত রাখতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কর্মকর্তা সমিতি আজ তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
আজ ৩ জুন (সোমবার) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি-স্তম্ভের সামনে উক্ত আন্দোলন সংগঠিত হয়। সদ্য পাশকৃত নীতিমালা অনুসারে, স্বায়ত্ত-শাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকলে সার্বজনীন পেনশন স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হবে। তারই প্রতিবাদে আজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি সংগঠন।
উক্ত আন্দোলনে চুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: মকবুল হোসেন সহ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মুহাম্মদ মোরশেদুল হক, ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস এম মোখতারুল মোস্তফা টিপু সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: মকবুল হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে পেনশন বাবদ এককালীন বেশ কিছু টাকা পাব, সেই টাকা দিয়ে একটা বাড়ি করব, সেই স্বপ্ন নিয়ে চাকুরি করতে এসে আজকে লালিত স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে। রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কেউই ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না। এভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কীম বিধিমালা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষার অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে।
এ বিষয়ে চুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে সরকারি ও আধা-সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে আওতা-বহির্ভূত রাখলেও, বিধিমালার সংশোধনী তে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে পেনশনের আওতায় থাকা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে অন্তর্ভুক্ত করা বৈষম্যমূলক। বৈষম্যের মূলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কোন চক্রান্ত রয়েছে কিনা তা তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।