ড. কুদরত-ই-খুদা হল: সমাবর্তনের আগে লোক দেখানো সৌন্দর্যবর্ধন

ইনজামাম উল হকঃ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৪ই মার্চ । এই উপলক্ষে চুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে চলছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ । তবে কাজের ধরণ এবং মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। সমাবর্তন উপলক্ষ্যে এই সৌন্দর্যবর্ধনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকদিন আগে ড. কুদরত-ই-খুদা হলে চুনকামের কাজ শুরু হয়। তবে সমাবর্তনের দুদিন আগে চুয়েটের ১ কি.মি. সড়ক থেকে হলের যে অংশটুকু দেখা যায় শুধু সেই অংশের চুনকাম করিয়ে হলের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ করে প্রশাসন । একইভাবে রাস্তা থেকে বঙ্গবন্ধু হলের দৃশ্যমান অংশ চুনকাম করিয়েই সৌন্দর্যবর্ধন কাজ শেষ করেছে প্রশাসন।
চুয়েট প্রশাসনের লোক-দেখানো এই আনুষ্ঠানিকতায় ক্ষুদ্ধ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা । ড. কুদরত-ই-খুদা হলের ’১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুম রনি বলেন, হলের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হতে দেখে মনে হচ্ছিল পুরো হল হয়ত রঙ করানো হবে । কিন্তু প্রশাসনের এই লোক-দেখানো কর্মকাণ্ডে আমি হতাশ। ’১২ ব্যাচের দিপু শাহরিয়ারের কণ্ঠেও শোনা গেল একই কথা , প্রশাসনের অবহেলায় ড. কুদরত-ই-খুদা হল দেখতে অনেকটা পরিত্যাক্ত ভবনের মত । তার উপর প্রশাসনের এই ধরণের কার্যক্রম অত্যন্ত হতাশাজনক। বঙ্গবন্ধু হলের শেষবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, চুয়েটের বেশিরভাগ কাজই এইরূপ অসম্পূর্ণ ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ভবিষ্যতে এরকম আর কি কি কর্মকান্ড হতে পারে তাই দেখার বিষয়।
সমাবর্তনের সৌন্দর্যবর্ধন কমিটি সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ড. কুদরত-ই-খুদা হলের শুধুমাত্র উপরোক্ত অংশেরই চুনকাম করানো হয়েছে । পরে হল কতৃপক্ষ চাইলে নিজস্ব অর্থায়নে বাকি অংশের চুনকাম করাতে পারবে।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. কুদরত-ই-খুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোঃ সামসুল আরেফিন বলেন, সমাবর্তন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে শীঘ্রই আমরা হলের রঙ করানোর কাজ শুরু করব।

তারিখ: ১২.৩.১৬