ইপশিতা সুমাঃ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর অন্যতম সংগঠন ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার(আইইইই) চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ এর নতুন কমিটি ঘোষণা করেন বিদায়ী সভাপতি অপি দাস এবং আইইইই উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এফিনিটি গ্রুপের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন বিদায়ী সভাপতি ফাইরুজ আরেফিন খান। আইইইই চুয়েট স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের নব্য কমিটিতে চেয়ার পদে হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (১৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থী শাফিন হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন একই বিভাগ এবং বর্ষের মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল। এছাড়া আইিইই উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এফিনিটি গ্রুপের নব্য কমিটিতে চেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের বিভাগের (১৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থী তাসনিয়া রহমান প্রমি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (১৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থী মায়িশা ফারজানা।
গত ২১ জুন বুধবার চুয়েটের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের তৃতীয় তলায় এ বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের প্রভাষক দিবা দাস, আইইইই ইঞ্জিনিয়ারিং ইন মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সোসাইটি চুয়েট চ্যাপ্টার এর উপদেষ্টা ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহদী হাসান চৌধুরী এবং আইইইই সিগন্যাল প্রোসেসিং সোসাইটি চুয়েট চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিতু প্রকাশ ধর।
এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে সংগঠনের আইইইই ইঞ্জিনিয়ারিং ইন মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সোসাইটি চুয়েট চ্যাপ্টার, আইইইই সিগন্যাল প্রোসেসিং সোসাইটি চুয়েট চ্যাপ্টার ও আইইইই চুয়েট অটোমেশন এন্ড রোবোটিকস সোসাইটির কার্যকরী কমিটি ২০২২-২৩ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিন আইইইই চুয়েট ব্রাঞ্চ কতৃক আয়োজিত ইনজিনিয়াস ২.০ প্রতিযোগীতার পুরস্কার, ফেস দ্যা কেস ৩.০ এর আয়োজক কমিটির সম্মাননা স্মারক এবং আইইইই চুয়েট ডব্লিউ আইইইই এফিনিটি গ্রুপ আয়োজিত ‘লার্নিং ফ্রম আইইইই রিসোর্সেস’ শিরোনামে সভায় আলোচকদের সনদ প্রদান করা হয়।
অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। তারা এই সংগঠনের মধ্যে নিজেরা যেসব কাজ করেছে তা প্রশংসার দাবিদার। আমি আশা করবো তারা তাদের ভালো কাজগুলো এভাবে চালু রাখবে এবং টেকনিক্যাল ফিল্ডে পারদর্শী হওয়ার জন্য নতুন শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরনা জোগাবে। সংগঠনটি অনেক দূর এগিয়ে গেছে এবং পর্যাপ্ত সহযোগীতা পেলে তারা অবশ্যই চুয়েটকে অনেক ভালো কিছু উপহার দিবে।”