হাবিব আসলাম:-
গত ২৭ জুন কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত সংস্করণটিতে বিশ্বের একশত চারটি দেশের মোট একহাজার পাঁচশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালিকায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর পরেই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর অবস্থান। সারাবিশ্বে চুয়েটের অবস্থান ১২০১-১৪০০ এর মধ্যবর্তী । তালিকায় উক্ত অবস্থানে আরো রয়েছে দেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)।
প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসটেইনিবিলিটির উপর গুরুত্ব দিয়ে কিউএস র্যাংকিং প্রকাশিত হয়। এবারের র্যাংকিং এ বাংলাদেশের সর্বমোট পনেরটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। গত বছর প্রকাশিত তালিকাটিতে দেশের মাত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত তালিকায় স্থান পায়। বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত তালিকায় স্থান পায় নি। তবে বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিং এ চুয়েটের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ ১০১-১৫০ এর মধ্যে অবস্থান করেছিলো।
টিএইচই র্যাঙ্কিং এবং কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং দুটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং সিস্টেম যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, আন্তজার্তিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, কর্মসংস্থান এবং গবেষণামূলক কাজের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়।
আগামী বছর র্যাংকিং এ আরো এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (আইআইসিটি) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, গত বছর তথ্যের অপ্রতুলতার কারণে র্যাংকিং এ আমাদের অবস্থান আসেনি। তবে এবছর সেদিকটা আমরা অনেকাংশেই কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। র্যাংকিং এর সূচকগুলোর মধ্যে গবেষণায় আমাদের স্কোর সন্তোষজনক ছিল৷ আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে আগামীবছর গবেষণা কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করার।
অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান আরো বলেন, একইসাথে আন্তর্জাতিক ছাত্র এবং শিক্ষক সংখ্যা র্যাংকিং এর বড় একটি সূচক হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু কিছু আইনী জটিলতার কারণে আন্তর্জাতিক শিক্ষক নিয়োগ আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। একই কারণে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তবে এসকল বিষয়গুলোকে সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
আলহামদুলিল্লাহ, অভিনন্দন সকলকে।