আবারও প্রকৌশলীদের অধিকার আদায়ে ৩ দফা দাবিতে চুয়েটে বিক্ষোভ

চুয়েটনিউজ২৪ ডেস্কঃ

বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসন ও তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ ৩০শে এপ্রিল ( বুধবার) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চত্বরে এই  বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত তিন দফা দাবি আবারও উপস্থাপন করেন। প্রকৌশল নবম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়া এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হওয়া, কারিগরি দশম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করা এবং বিএসসি ডিগ্রীধারী ব্যতীত অন্য কেউ ‘প্রকৌশলী’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেনা মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করা, এই তিন দফা দাবি দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান শিক্ষাথীরা।

বর্তমানে কারিগরি পদে (১০ম গ্রেড) শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরাই আবেদন করতে পারেন এবং পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে তারা সরাসরি ৯ম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী পদে প্রবেশ করতে পারেন। তবে একজন বিএসসি ডিগ্রিধারীকে এই ৯ম গ্রেডে প্রবেশ করতে প্রচুর প্রতিযোগিতামূলক বিসিএস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একারণেই এই আন্দোলনে আসতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

তাঁদের মতে, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কারণে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারীরা পদোন্নতি ও নিয়োগে ন্যায্যতা থেকে অনেকদিন ধরেই বঞ্চিত হয়ে আসছেন। দীর্ঘ ৪ বছর কঠিন পাঠ্যক্রম, ল্যাব, থিসিস ও প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে পাস করা বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীরা চাকরির বাজারে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সরকারি চাকরির দশম গ্রেডে একচেটিয়া শতভাগ ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ এবং নবম গ্রেডে পদোন্নতিতে ৩৩.৩ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করা আছে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য। অধিকন্তু নবম গ্রেডে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোটার ব্যবস্থা ৫০ শতাংশ করার অন্যায্য দাবিও জানিয়ে আসছিলো তাঁরা।

তাঁরা আরও বলেন, সরকারি নিয়োগে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রাধান্য ও বিএসসি ডিগ্রীধারী প্রকৌশলীদের উচ্চতর পদে প্রবেশে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা পেশাগত মর্যাদা ও ন্যায্যতা লঙ্ঘন করে। কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল। অভ্যুত্থানের পরেও চাকরিক্ষেত্রে এরকম অন্যায্য কোটা থাকা জুলাই শহিদদের রক্তের সাথে বেইমানি। তাই অনতিবিলম্বে এ কোটা প্রথা বাতিল চান তাঁরা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের বিদায়ী বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজার রহমান মোহাব্বত বলেন, ডিপ্লোমারা তাদের থেকে অধিক যোগ্যদেরকে বিভিন্ন সময় অপমান অপদস্থ করে আসছে। কিছুদিন আগেও আমাদের চুয়েটের এক শিক্ষিকাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে। আমরা প্রকৌশলী সমাজ এটা মেনে নিতে পারি না। এদের বিরুদ্ধে তাই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছেন। এ নিয়ে আজ ঢাকায় একটি সমাবেশও হয়েছে। অতিসত্ত্বর আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *