চুয়েট নিউজ২৪ ডেস্কঃ
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) প্রধান ফটকের বিপরীতে অবস্থিত খাবারের হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে হোটেলগুলোতে বেড়েই চলছে স্বাস্থ্যকর ও গুনগত মানের খাবার সরবরাহের বিষয়ে উদাসীনতা। কাপ্তাই-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ার পরও হোটেলগুলোতে খোলা রাখা হচ্ছে খাবার। ফলে রাস্তার ধুলাবালির পাশাপাশি মাছি সহ দূষিত ও বিষাক্ত পোকামাকড় অবাধেই ঘুরাফেরা করছে খাবারের উপর। যাতে বেড়েই চলেছে খাদ্যদূষণ। ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়ার স্বীকার হচ্ছে চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজন।
কয়েকদিন আগের তৈরি পঁচা-বাসি খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে চুয়েটের প্রধান ফটকের বিপরীতে অবস্থিত “আইমিনস কিচেন” এর বিরুদ্ধে। চুয়েটের খনিজ ও খনন কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রবিউল হাসান এমনই অভিযোগ করেন।
রবিউল হাসান চুয়েট নিউজ২৪ কে জানান, “গত ২৮ আগস্ট রবিবার দুপুর দেড়টায় তিন বন্ধু মিলে আইমিনস কিচেনে দুপুরের খাবার খেতে যাই। প্রবেশের পরপরই দেখতে পাই খাবারের বাটিগুলো খোলা রাখা হয়েছে। এরপর আমাকে সরবরাহকৃত মুরগীর মাংসটি থেকে তিক্ত পঁচা স্বাদ পাই। দোকানীকে বিষয়টি অবগত করলে তারা দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান । পরে উনি বিষয়টা ধামাচাপা দেয়ার জন্য দায়িত্বরত কর্মচারীকে সাময়িক প্রত্যাহার করেন।”
এ বিষয়ে আইমিন কিচেনের মালিক আবু বক্কর জানান, “বিষয়টির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং লজ্জিত। ওইদিনের রান্না নিয়ে আরও দুইজনের অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে। হোটেলের বাবুর্চিকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি জানান, তেলে মাংস ভেজে নেয়ার সময় তেল অতিরিক্ত গরম থাকায় মাংসের বাইরের দিকের অংশ লালচে বর্ণ ধারন করলেও ভিতেরের দিকের মাংস পরিমিত সিদ্ধ হয়নি। আমরা পরবর্তীতে রান্নার গুণগত মান ঠিক রেখে পরিচ্ছন্নতার দিকে আরও মনোযোগী হবো৷”
চুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম চুয়েট নিউজ২৪ কে বলেন, “আমরা চুয়েট সংলগ্ন খাবার হোটেল গুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করব।”
উল্লেখ্য চুয়েট ক্যাম্পাসের ভিতরের ক্যান্টিন এবং প্রধান ফটকের বাইরের হোটেলগুলোতে দূষিত পরিবেশ, অনিরাপদ খাবার এবং খাবারের উচ্চ মূল্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে চুয়েট শিক্ষার্থীরা৷