কাব্য প্রকাশ চক্রবর্ত্তীঃ
প্রতিবছর মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন বাস্কেটবল মাঠে এ আয়োজন করা হয়।
চুয়েটের সনাতন ধর্মাম্বলী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) পূজার মুল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) সরস্বতী দেবীকে বরণের মধ্য দিয়ে পূজার্চনার সূচনা করে। যা আজ সকালে দেবীকে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের মাধ্যমে মূল পর্বে প্রবেশ করে। দেবী আরাধনার পর অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় “ধর্ম ও দর্শন ” শীর্ষক আলোচনা সভা। সেখানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমের সম্পাদক স্বামী শক্তিনাথান্দ মহারাজ।
উক্ত আলোচনা সভায় পূজা উদযাপন পরিষদ চুয়েট কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাক’ নামক সাময়িকীর মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং পূজা উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম।

জমজমাট এ আয়োজনের ব্যাপারে অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিবছর সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়ে থাকে। অন্যান্যবারের ন্যায় এবার ও চুয়েট ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজা সুষ্ঠ এবং সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
সার্বক্ষণিক পূজার তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর জানান, সবার সহযোগীতায় উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। পূজায় সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের(‘১৯ ব্যাচ) শিক্ষার্থী উৎস ভৌমিক বলেন, সবার সাথে পূজায় অংশগ্রহণ করতে পেরে সত্যি অনেক ভালো লাগতেছে। পরীক্ষা চলমান থাকায় কিছুটা প্রেশার থাকলেও, পূজার আমেজ সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য যে, আগামীকাল (১৫ ফেব্রুয়ারী) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে পূজার সমাপ্তি ঘটবে।