আসহাব লাবিব:
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) মন্দির স্থাপন নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে চুয়েটের পূজা উদযাপন পরিষদ। আজ ০৩ জুলাই (বুধবার) চুয়েটের সনাতনী শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ সনাতনী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, তাছাড়াও আবাসিকে অবস্থানরত শিক্ষকবৃন্দ এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ এবং চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ সবমিলিয়ে প্রায় ২০০০ সনাতনী ক্যাম্পাসের সাথে সংযুক্ত। আমাদের এই বিশাল সামাজিক জনগোষ্ঠীর জন্য একটি মন্দিরের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন যাবত বিশেষভাবে অনুভব করছি। মন্দির যেহেতু সামাজিক মেলবন্ধনের একটি কেন্দ্রবিন্দু, সুতরাং মন্দিরের স্থানটি এমন হওয়া দরকার যেখানে আমাদের ক্যাম্পাসের ছাত্রীরা এবং আবাসিকে অবস্থানরত মহিলারা ও ছোট শিশুরা সন্ধ্যা কিংবা রাতে যেকোনো অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে পারে। কাজেই, ক্যাম্পাসের মূল ভূখণ্ডের মধ্যে সর্বসাধারণের যাতায়াত উপযোগী স্থানে মন্দিরের জায়গাটি বরাদ্দ দিতে হবে। যেমন: “অডিটোরিয়ামের পাশে” অথবা “ওয়াটার পাম্পের পাশে” হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক হবে।”
এ ব্যাপারে চুয়েটের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অনিরুদ্ধ দেব এ ব্যাপারে চুয়েটনিউজ২৪ কে বলেন, “মাননীয় ভিসি স্যার ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার আমাদের মন্দিরের জায়গা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। ভিসি স্যার বলেছেন আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ ব্যাপারে আলাপ করবেন। আমরা স্যারের প্রতি আশ্বাস রেখে সেইদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারপরেও যদি আমাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা না হয়, আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।
উল্লেখ্য, চুয়েটে মন্দির স্থাপন নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছে পূজা উদযাপন পরিষদ সংগঠনটি। কিন্তু সময়ের সাথে এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ সংগঠনটির সদস্যদের। তবে আজকের স্মারকলিপি প্রদানে এই বিষয়টির সুরাহা হবে বলে আশাবাদী তারা।