সাইকা শুহাদা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) “ধানের তুষ থেকে সিমেন্টের বিকল্প” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) এর গবেষণা প্রকল্পের আয়োজনে আজ ২৭ শে জুন (বৃহস্পতিবার) দুপুর দেড়টায় পুরকৌশল বিভাগের সভাকক্ষে সেমিনারটি আয়োজিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। পাশাপাশি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ ও পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড.আয়শা আখতার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্যানবেজ প্রজেক্টের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ছিলেন পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম ও কো-প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ছিলেন আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম।
সেমিনারে ধানের তুষ থেকে সিমেন্টের বিকল্প তৈরীর গবেষণা নিয়ে ধারণা দেয়া হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা সহকারী নাদিরা ইসলাম নীলা। উপস্থাপকরা জানান, বিশ্বব্যাপী সিমেন্ট তৈরিতে ৭ থেকে ১০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হয়। অপরদিকে ধানের তুষ রেখে দিলে তা সহজে পঁচে না। যে কারণে ধানের তুষকে পুড়িয়ে ছাই করে সেই তাপ ব্যবহার করে ধান সিদ্ধ করা যায়। এর প্রেক্ষিতে যে ছাই তৈরি হয়, সেই ছাই থেকে ন্যানো সিলিকা তৈরি করে সিমেন্টের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার জন্য গবেষণাগারে পরীক্ষা করে চমৎকার ফলাফল পাওয়া গেছে।
চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জি.এম সাদিকুল ইসলাম বলেন,সিমেন্টকে আংশিক প্রতিস্থাপন করে ধানের তুষ ব্যবহার বিষয়ক এই গবেষণার প্রস্তাবনা আমি প্রায় ৩ বছর আগেই লিখেছিলাম। তারপর একটু দেরীতে বরাদ্দ দেওয়া হলেও আমাদেরকে পর্যাপ্ত আর্থিক ও কারিগরি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই সেমিনারে আমরা আমাদের গবেষণার অনেকাংশ উপস্থাপন করতে পেরেছি। আজকের এই সেমিনারে এই গবেষোনার উপর যে আলাপ হয়েছে তা একে আরো সমৃদ্ধ করবে। এখনো আমাদের হাতে ১ বছরের মতো সময় আছে। আশাকরি এই গবেষণার ফলাফলগুলো আমাদের পরিবেশ, দেশ ও বিশ্ববাসীর জন্যে কল্যাণকর হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের চারপাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অনেক উপাদান আছে, সেই উপাদানগুলোকে চিহ্নিত করে কাজে লাগাতে হবে। ধানের তুষ থেকে সিমেন্ট ব্যবহারের এই নতুন উদ্ভাবনীকে আমি সাধুবাদ জানাই। এ ধরণের গবেষণা কার্যক্রম দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।