চুয়েটে রোবট সকারে বিজয়ী ‘ক্ষেপা ১.৭’

মোঃ গোলাম রাব্বানী শান্ত:

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) রোবট গবেষণাধর্মী সংগঠন ‘অ্যান্ড্রোমিডা স্পেস অ্যান্ড রোবটিক্স রিসার্চ অর্গানাইজেশন (অ্যাসরো)’ এর আয়োজনে ফুটবল মাঠে রোবটের পারদর্শীতা, পোস্টার প্রদর্শনী ও বিভিন্ন গবেষণাধর্মী আইডিয়া প্রতিযোগিতার সম্মিলিত আয়োজন ‘টেকনো ক্র‍্যাজ-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়েছে । গত ১৭ অক্টোবর শুরু হওয়া দুই দিনের এ আয়োজনে রোবটের ফুটবল খেলায় মেতেছিল চুয়েটের ক্যাম্পাস।

দেশের নানা প্রান্তের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞান পিপাসু তরুণরা তাদের রোবট, পোস্টার এবং আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছিল। আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে গবেষণা ও একাডেমিক পত্রিকা প্রকাশনা বিষয়ক ‘ রিসার্চ এন্ড জার্নাল প্যাবলিকেশন’ এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কিত ‘ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ নামক সেমিনার এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা হয়। গবেষণা ও সাময়িকী প্রকাশনা বিষয়ক সেমিনারে বক্তা হিসেবে ছিলেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড.সজল চন্দ্র বণিক এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস কৌশল বিভাগের প্রভাষক জিতু প্রকাশ ধর।

আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ ছিল ২য় দিন। রোবটের ফুটবল খেলা(রোবো-সকার), পোষ্টার প্রদর্শনী ও গবেষণাধর্মী আইডিয়া প্রতিযোগিতা। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত সর্বমোট ৩২টি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই রোবোটের ফুটবল খেলায় জয়ী হয়েছে চুয়েটের ‘কেপা ১.৭’ এবং রানার্সআপ হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘ সাস্ট রোবো-স্যাপিয়েন্স’।

এরপর পোষ্টার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পোষ্টার প্রদর্শনী এবং আইডিয়া প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন মেকাট্রনিকস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আব্দুর রহমান,তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের জিতু প্রকাশ ধর এবং একই বিভাগের কামরুল হাসান। পোষ্টার প্রদর্শনী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘বিএআইইউএসটি-স্পার্ক, রানার্সআপ হয়েছে চুয়েটের ‘টিম সিক্সটিন’।

আইডিয়া প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে চুয়েটের ‘টেকক্রেজ’, ১ম রানার্সআপ ‘দ্যা ফরচুনেট ওয়ানস’ এবং ২য় রানার্সআপ হয়েছে ‘টিম ৭১’। দেশের ২০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৪৫টি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

এরপর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উপ-পরিচালক ড.আরাফাত রহমান রানা এবং উপ-পরিচালক হুমায়ন কবির, ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের সহ সংগঠনটির সদস্যবৃন্দ। পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে ২ দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

অ্যাসরো’র সভাপতি এহেসানুল হক সিয়াম মনে করেন- ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে প্রযুক্তির পারস্পরিক মেলবন্ধন তৈরী এবং নিজেদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের ডিজিটাইজেশনের পথ সুগম করা। ছাত্রদের নিজস্ব আইডিয়াগুলোকে সবার সামনে নিয়ে এসে একত্রে কাজ করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা। আমি মনে করি আইডিয়া এবং প্রজেক্ট কম্পিটিশনের মাধ্যমে উঠে আসা প্রজেক্ট এবং আইডিয়াগুলোকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে পাশাপাশি ছাত্রদের আরও নিত্য নতুন আইডিয়া এবং প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার জন্য আগ্রহী করে তুলবে। ‘

অনুষ্ঠানটির সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল সিনকোস ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড, ইনডিয়েভারএক্স টেকনোলজিস এবং চুয়েটনিউজ২৪ডটকম।