চুয়েটে নবনির্মিত শেখ রাসেল হলে ছাত্র-শিক্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

আতাহার মাসুম তারিফঃ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(চুয়েট) নবনির্মিত শেখ রাসেল হলে ছাত্র-শিক্ষক মত বিনিময় সভা ও মাসিক প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়। অদ্য ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় হলের সম্মেলন কক্ষে প্রথমবারের মতো এ আয়োজন করা হয়।

আজকের সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ‘হলের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও মানোন্নয়ন’। হলে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা বর্তমানে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সে বিষয়ে উন্মুক্ত মতামত এবং তা সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে ছাত্ররা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। তন্মধ্যে হলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাবার , ক্রিয়া ও সংস্কৃতি, হল লাইব্রেরী, হল মসজিদ, ক্যান্টিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক থেকে হল গেইট পর্যন্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা, আবাসন নিয়ম, সৌন্দর্য বর্ধন ও সংরক্ষণ, র‍্যাগিং , মাদক ও জঙ্গিবাদ নিরসণ, সকল ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে আন্তরিক সহঅবস্থান, বয়-বাবুর্চিদের বেতন বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল হলের প্রভোষ্ট ড. মোঃ কামরুল হাসান এবং সহকারী প্রভোষ্টদ্বয়ের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. মোঃ মোক্তার হোসাইন এবং হুমায়ন কবির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শেখ রাসেল হলের প্রভোষ্ট ড. মোঃ কামরুল হাসান বলেন, ছাত্ররা এখানে পরিবার-পরিজন থেকে অনেক দূরে থাকে। তাদেরকে সর্বোত্তম আবাসিক পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এরই প্রেক্ষিতে হলে খাবারের মানকে উন্নত করার পাশাপাশি অন্যান্য আনুষঙ্গিক সমস্যা নিরসণে আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট।

তিনি আরো বলেন, সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য প্রতি রুমের সামনে একটি করে ফুলের টব দেয়া হবে। শীঘ্রই হল লাইব্রেরি, ক্যান্টিন ও লন্ড্রীর ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যাডমিন্টন কোর্ট হয়ে যাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

ভর্তি পরীক্ষায় চুয়েট শিক্ষার্থীদের অতিথিপণার ব্যাপারে তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় শেখ রাসেল হল সহ চুয়েটের সকল শিক্ষার্থীদের আতিথিয়পণায় অনেক সুনাম নিয়ে এসেছে। চুয়েটের রুল-মডেল হিসাবে র‍্যাগিং,মাদক ও জঙ্গিবাদ মুক্ত সুন্দর বসবাসযোগ্য হল প্রাঙ্গন সৃষ্টিতে ছাত্র শিক্ষকের সম্মিলিত প্রয়াসই প্রধান ভুমিকা পালন করবে।

পরিশেষে নবনির্মিত শেখ রাসেল হলের সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে তিনি আশ্বস্ত করেন।

উপস্থিত শেখ রাসেল হলের সহকারী প্রভোষ্ট হুমায়ন কবির বলেন, দ্রুত হলের টোকেন কাটার বিষয়টা অনলাইন ভিত্তিক হবে এবং শীঘ্রই খাবারের মান আরোও উন্নত হবে।

তাং-২৮.১১.২০১৮